সিবিআই এবং কলকাতা পুলিশের মধ্যে যা চলছে, তা দেশের রাষ্ট্রকাঠামো এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্কটটাকেই সামনে নিয়ে এসেছে। সিবিআই হোক বা কলকাতা পুলিশ, দুজনেরই বিশ্বাসযোগ্যতা আজ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। একজন চলছে মোদী সরকারের অঙ্গুলি হেলনে, আর অন্যজন পরিণত হয়েছে তৃনমূল কংগ্রেসের শাখা সংগঠনে।
দুর্নীতি দমনে ব্যবস্থা যদি নেওয়ারই হত তাহলে এতদিন সিবিআই কোথায় ছিল? লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে এই নাটক কেন? চিটফান্ড কাণ্ডে তো মুকুল রায়ের নামও জড়িয়ে আছে, তাঁকে তদন্তের আওতা থেকে বাদ রাখা হচ্ছে কীভাবে?
সুপ্রিম কোর্ট কি করবে জানা নেই। সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ও আজকাল কতটা ন্যায় বিচার করছে তা নিয়ে জনমানসে সন্দেহ জন্মেছে, লোয়া মৃত্যু, নাগরিকপঞ্জি, রাফাল কেলেঙ্কারি ইত্যাদি নিয়ে দেওয়া একের পর এক রায়ের ফলে।
আর রাজ্য সরকার যদি মনে করে সিবিআই কলকাতা পুলিশের স্বাধিকার ভঙ্গ করছে তাহলে তারা আদালতে না গিয়ে সিবিআই অফিসারদের সাথে রাস্তায় ধস্তাধস্তি করার নির্দেশ দিল কীভাবে? পুলিশ প্রশাসনের এই ধরণের আচরণ কি সংবিধান সম্মত?
সুপ্রিম কোর্ট কি করবে জানা নেই। সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ও আজকাল কতটা ন্যায় বিচার করছে তা নিয়ে জনমানসে সন্দেহ জন্মেছে, লোয়া মৃত্যু, নাগরিকপঞ্জি, রাফাল কেলেঙ্কারি ইত্যাদি নিয়ে দেওয়া একের পর এক রায়ের ফলে।
আসলে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হওয়ার ঠিক পরেই, আর রাজ্য বাজেট পেশ হওয়ার মুখে এই ধরণের কেন্দ্র-রাজ্য সরকারি সংঘাত দেখে মনে প্রবল সন্দেহ জাগছে। ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, কৃষকদের দুর্দশা, জীবন-জীবিকার সঙ্কট- এই সমস্ত কিছু থেকে জনগণের নজর সরিয়ে দেওয়ার এটা শাসকদের কোনও চাল নয়ত?